রাজধানীর ফার্মগেটের আ. কা. মু. গিয়াস উদ্দীন মিল্কী অডিটরিয়াম চত্বরে শেষ হলো জাতীয় মৌ মেলা ২০১৯। তিন দিনের এ মেলার সমাপনী দিন ছিলো মঙ্গলবার (১২ মার্চ)। মেলায় এবার প্রায় ৩০ লাখ টাকার মধু বিক্রি হয়। গত বছর মেলায় মধু বিক্রি হয়েছিলো প্রায় ১১ লাখ টাকা। তৃতীয়বারের মতো এ মেলার আয়োজন করে কৃষি মন্ত্রণালয়। মেলায় সরকারি ৬টি ও বেসরকারি ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৬২টি স্টল অংশগ্রহন করে। এবারের প্রতিপাদ্য ‘পুষ্টি, আয় ও ফলন বাড়াবে মৌচাষ’। এবারের মেলায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের সমাগম ছিলো প্রচুর।
মিল্কী অডিটরিয়ামে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব (রুটিন দায়ত্ব) ড. মোঃ আব্দুর রৌফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) সনৎ কুমার সাহা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মীর নূরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শাহ মো: আকরামুল হক।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মেলায় অংশগ্রহনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। মেলার প্রতিপাদ্যের সাথে স্টলের সামঞ্জস্য, সাজসজ্জা, প্রদর্শীত মধু আইটেমের সংখ্যা ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করে সরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, দ্বিতীয় হয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ সুগার ক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট।
বেসরকারি পর্যায়ে প্রথম হয়েছে আল ওয়ান এন্টারপ্রাইজ, দ্বিতীয় হয়েছে এপি মধু এবং তৃতীয় হয়েছে সলিড মধু। মেলায় অংশগ্রহনকারী অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার (১০ মার্চ) প্রধান অতিথি হিসেবে মেলা উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি।